এথনিক ড্যান্স একাডেমীর কর্ণ-কুন্তী সংবাদ মঞ্চস্থ করলেন দ্রাবিণ ও অলকানন্দা

বুধবার শ্রাবণ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র প্রয়াণের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল এথনিক ড্যান্স একাডেমী । একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশন করলেন তাঁদের নৃত্যশৈলী ।

বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী কোহিনূর সেন বরাট পরিবেশন করলেন রবীন্দ্র কবিতা দেবতার গ্রাস অবলম্বনে একটি একক নৃত্য কাব্য নিজস্ব পরিকল্পনায়। কবির সেনগুপ্ত পরিবেশন করেন নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ ও পলি গুহের উপস্থাপনা এক অন্য মাত্রা এনে দেয়।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রনাথের সেরা কাব্যনাটকের অন্যতম কর্ণ -কুন্তী সংবাদমূল দুটি চরিত্রে নৃত্য পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান এথনিক ড্যান্স একাডেমীর প্রধান তারুণ্যের প্রতীক দ্রাবিণ চট্টোপাধ্যায় ও নৃত্যশিল্পী ও পরিচালক অলকানন্দা রায়

দ্রাবিণ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি আমি আমার মাকে হারিয়েছি। মা ও পুত্রের বিচ্ছেদ অনুভূতি আমাকে বিচলিত করেছিল। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মহাভারতের প্রতিটি পর্ব আজও প্রাসঙ্গিক। তাই রবীন্দ্র প্রয়াণে তাঁর কর্ণ_ কুন্তী সংবাদ মঞ্চস্থ করে গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নিই। আমি আমার মায়ের অপূর্ণতা পূরণ করেছি অলকানন্দা রায়ের কাছে। তিনি আমাকে পুত্র স্নেহের আঁচলে ঢেকে রাখেন। তাই কুন্তী চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি। মঞ্চে আমাদের এই উপস্থাপনা প্রথম। আমার শিক্ষাগুরু কোহিনূর সেন বরাট এবং আমার মাতৃসমা অলকানন্দা আমাকে কর্ণ চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে নতুন কিছু সূত্র দিয়েছেন।

অলকানন্দা বলেন, এই প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিবান পরিণত নৃত্যশিল্পী দ্রাবিণ এক গুণী ছেলে। আমার পুত্রসম। বরাবরই আমার মহাভারতের দুটি চরিত্র কুন্তী ও গান্ধারীর প্রতি দুর্বলতা আছে। ইচ্ছে ছিল একটি নৃত্য পরিকল্পনার। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। আজ কুন্ত চরিত্রে মঞ্চায়ন করার সুযোগ এসে গেল দ্রাবিণের পরিকল্পনায়। যেহেতু দুজনের রসায়নে মা ও ছেলের একটা অলিখিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাই এমন দুটি বহুমুখী চরিত্রে নৃত্যাভিনয়ে আলাদা অনুশীলনের প্রয়োজন হয়নি।

দ্রাবিণের শিক্ষাগুরু প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী কোহিনূর সেন বরাট বলেন, ছোট থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে আমার কাছে নাচ শিখেছে দ্রাবিণ। ওঁর নিষ্ঠা ও নৃত্যনির্মাণ শৈলীর এক আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি আছে যা প্রকৃত শিল্পীর পরিচয়। আমার স্থির বিশ্বাস এই অগ্নিপরীক্ষায় ও স্বসম্মানে উত্তীর্ণ হবে। দুই প্রবীণ নৃত্যশিল্পীর কামনা ও দ্রাবিণের আত্মবিশ্বাসের সার্থক রূপায়ণ ঘটল এদিনের অনুষ্ঠানে। পরিপূর্ণ ছিল দর্শক আসন। দ্রাবিণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছাত্রছাত্রীরা প্রমাণ করলেন নিষ্ঠা ও নৃত্যশৈলীর প্রতি শ্রদ্ধা সাফল্যের আরেক নাম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় দ্রাবিণ চট্টোপাধ্যায়ের মুন্সিয়ানা ও অক্লান্তা মজুমদার ও রণজয় কুণ্ডুর সংযোজনাও দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ছবি – রাজেন বিশ্বাস, Hello Kolkata Network

For news coverage, ph- 9339228087.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *