গত ৩রা ডিসেম্বর বেলা ১১ঃ০০ টা থেকে ৩.০০ টা পর্যন্ত যাদবপুরে ইন্দুমতি সভাগৃহে “আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন (উত্তরবঙ্গ)-২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
এই শান্তি সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সর্বাশিস কুমার পাল। তিনি প্রতিবছর এই শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করে থাকেন।
এখানে একটি বই”এক্সপ্লোরিং পিস থ্রু শর্ট স্টোরিস অ্যান্ড এসেস”বইটির আবরণ উন্মোচিত হলো। বইটিতে মোট ১৩ টি প্রবন্ধ ও ১৮ টি ছোট গল্প সংকলিত হয়েছে। এই বইতে দেশ-বিদেশের লেখকদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বর্তমানে আমাজন, flipkart তে পাওয়া যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন মাননীয় উপাচার্য ডক্টর বুদ্ধদেব সাহু, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হায়দ্রাবাদের 9 জন অধ্যাপক, তামিলনাড়ুর বিশিষ্ট ডাক্তার, মেঘালয়ের বিশিষ্ট লেখক এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন লেখকরা এসেছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে আমিয়া রানী পাল স্মৃতি শান্তি পুরস্কার-২০২৩ পান মেঘালয়ের বিশিষ্ট সমাজসেবী নরিন ডুনাই। পুরস্কার হিসেবে মেমেন্টো, সার্টিফিকেট, উত্তরীয় ও ২০০০ টাকার নগদ।আমিয়া রানী পাল, সর্বাশিস কুমার পাল এর মা।
এছাড়া নুরজাহান মেমোরিয়াল শান্তি পুরস্কার ২০২৩”পান সুব্রত সরকার। পুরস্কার হিসেবে একটি মিমেন্টো, সার্টিফিকেট ,উত্তরীয় ও নগদ ১০০০ টাকা পান। “আত্মবিশ্বাস” পুরস্কার পান ১০ জন। সৎ চিন্তা পুরস্কার পান মোট ৩০ জন।
অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সর্বশিষ কুমার পাল বলেন”আমি উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছি সাহিত্যের স্বর্গ কলকাতাতে”। আমি আপনাদের আশীর্বাদ গ্রহন করতে এসেছি। আমার সংকলিত ও সম্পাদিত বইয়ের মূল বিষয় শান্তি। যুগ গতিশীল তাই প্রতিমুহূর্তে শান্তি সূত্র পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের শান্তি নিয়ে যুগে যুগে ভাবনার প্রয়োজন আছে। এখানে বিশিষ্ট লেখক শান্তির সম্বন্ধে প্রবন্ধ ও গল্প দিয়ে আমাদেরকে আগামী দিনে শান্তির পথ দেখাবে এই আশা রাখি। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এমদাদ হোসেন।
যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসেছিলেন তারা হলেন উত্তরবঙ্গের ডঃ শীর্ষেন্দু পাল, সজল গুহ, সুব্রত সরকার, বিনয় লাহা, শর্মিষ্ঠা ঘোষ, রাখি দে সরকার, ভীম কুমার সরকার, বিধানেন্দু পুরোকাইত, পরশুরাম গানডে, সিলসিলা শাস্ত্রী, ওটরেই সেলভা কুমার, তিরুপতি রেড্ডি, রাজু কুমার, নরিন ডুনাই, পরিমল সরকার নন্দিতা দে , রিত্তিকা ব্যানার্জি, রিতা দে, ডক্টর বাসুদেব রায়, সমীর রায় প্রমুখও অনেকে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনা করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুমা সাহা পাল । অন্যদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করে শাশ্বতী পাল। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বিনয় লাহা।