Short Stories or Creative Compositions published in ILF’s 1st book- “ILF 100-TE / 100”

Surprise Gift

-Asish Basak

For the past few years, Sukanya is having everything in her beck and call.
A caring hubby, big house, two cars, riches, etc.
But she is always very UNHAPPY.
Simply because she always feels insecure about her hubby’s various activities and dealings with female clients or associates.
Currently, she is getting angry at repeated calls and whatsapp messages from a particular lady to her hubby.
But Asish does not disclose anything to her even after repeated queries.
After a long argument in the night, Sukanya decided to follow the hubby to his work place.
She was more enraged as she saw that Asish was not going to office and they entered a Hotel.
She followed him to a Suite in 2nd floor.
The room was dark when she entered, 5 minutes after Asish did.
Suddenly the lights came up and it was actually a SURPRISE PARTY planned for pre-VALENTINE Gift for Sukanya.
The lady with whom the husband used to talk was the EVENT PLANNER.

ALL is well that ends well…..

……………………………………………………………………………

নাটক- মা নিখোঁজ
রচনা-মৌ চ্যাটার্জী ভট্টাচার্য্য

চরিত্র: শিব,নারদ,কার্তিক,গণেশ

Scene 1

শিব: বাবা নারদ,তোমাদের দুগ্গা মা গেলেন কোতা ইট্টু দ্যাকো দিকি। কাল ১০ হাত নিয়ে ইট্টু মজা করেছিলাম,তাতেই বেটির রাগ।

নারদ: আপনি থাকতে আমি খোঁজ নিলে কি ভালো দেকাবে বাবা। মা আবার না রেগে তিশূলের খোঁচা মেরে বোঁচা করে দেন।

শিব: আজকাল আর কেউ আমার কতা গেরাহ্যি করে না দেকছি,হতচ্ছাড়া নারদ তোমার এতো বড় আস্পদা…যাও বলছি।

নারদ; আমার হয়েছে জ্বালা,এদিকে শাঁখের করাত ওদিকে চোরের বরাত। দেকি যদি কলকাতার ফুচকার লোভ দেখিয়ে মায়ের মান ভাঙাতে পারি…মা মাগো ক‌ই তুমি মা।

শিব: কেতো আর গণাকেও তো দেখছি না ধারেপাশে… ছেলেদুটো‌ও হয়েছে এক্কেবারে অপোগন্ড, সব‌ই কপাল, যাই ধ্যানে বসে তৃতীয় নয়ন খুলে দেকি একবার।

Scene 2

গণেশ: কোথা যাচ্ছিস রে কেতো সেজেগুজে,এবার মর্ত্যে যাওয়া বোধহয় ক্যানসেল হবে,ধুর… ভাবলাম মিষ্টি পোলাও ভালোমন্দ খাবো কটাদিন।

কার্তিক: যাহ শালা… ক্যানসেল!!! এখানে সেই একঘেয়ে উর্বশী রম্ভাকে দেকে দেকে ঘেন্না ধরে গেল,ভাবলাম ওখানে কদিন রচনা, শুভশ্রী, সোহিনী… উফফ নক্ষত্রদের ছুঁয়ে চক্ষু সার্থক করবো। এখন তো মনে হচ্ছে সে গুড়ে বালি রে গণা।

গনেশ: সগ্গের সেই একঘেয়ে নকুলদানা খেয়ে কি টিঙটিঙে চেহারা হয়েছে দেকেছিস… সেদিন তো এক ভক্তকে দেকা দিতেই বেটা ঝ্যাঁটা নিয়ে তেড়ে এলো,বলে কিনা,” তুমি গণেশ! মস্করা হচ্ছে? এমন হাড়গিলে চেহারা নিয়ে গণেশ সাজতে এয়েছ?” ভাগ্গিস চটপট অদৃশ্য হয়ে সরে পড়লাম নাহলে যে কি হতো….

কার্তিক: আমার তো বাবার সাথে কদিন শুয়ে চুলে উকুনের ঢিবি হয়েছে…মর্ত্যে গিয়ে পার্লারে স্পা করিয়ে ফিটফাট হবো ভেবেছিলাম। কি হবে রে গণা,শেষে কি টেকো কাত্তিক হবো?

গণেশ: ওরে মহালয়া মনে হয় শুরু হয়েছে,মাকে ডাকাডাকি কচ্ছে সব,চল আমরাও ডাকি,আমাদের মা-ই হলো মুশকিল আসান।

(দুজন একসাথে)
-মা মাগো,ওমা মাগো,ক‌ই তুমি মা, মাগো।

……………………………………………………………………………….

ए नैरो लेन एंड अदर स्टोरीजः आधुनिक भारत की जटिल समस्याओं की पड़ताल करती कहानियां

— अनवर हुसैन

“ए नैरो लेन एंड अदर स्टोरीज” सादिया आज़िम का पहला कहानी संग्रह है, जो आधुनिक भारत के विवादास्पद मुद्दों का गहरा अन्वेषण करता है। सांप्रदायिक तनाव से लेकर हाशिए पर पड़े लोगों के कठोर यथार्थ तक इसकी बारह आधुनिक कहानियां समाजिक उथल-पुथल से जूझ रहे देश के सामान्य जनों के संघर्षों में गहराई तक जाती हैं।
पद्मश्री श्री आनंद कुमार ने ट्विटर पर इस पुस्तक की तारीफ की और इसे पठनीय बताया है। उन्होंनों आज की ज्वलंत समस्याओं से रूबररू कराते इस कहानी संग्रह को पढ़ने के लिए पाठकों से अनुरोध किया है।
लंबे समय तक मुख्य धारा की टीवी पत्रकारिता में रह चुकी सादिया की कहानियों में एक अंतर्दृष्टि है जो लेंस की तरह समज को आइना दिखाने का काम करती है। भारत के ग्रामीण इलाकों में दशकों की रिपोर्टिंग अनुभव और बूथ स्कूल ऑफ बिजनेस में उनकी प्रबंधन शिक्षा उन्हें सूक्ष्म दृष्टिकोण प्रदान करती है जिसका प्रभाव उनकी कहानियां में दिखता है। इस कथा संग्रह में “वन डे इन दिसंबर” और “द रिफ्यूजी कॉलोनी,” में सादिया आसिफा जैसी एक युवती के मार्फत हाशिए के लोगों की दर्दनाक वास्तविकताओं पर प्रकाश डालती हैं, जो एक व्यस्त शहर के फ्लाईओवर को अपना घर कहती हैं, या फिर एक अनधिकृत बस्ती में जन्मे राणा की कहानी बताती हैं।
लेखिका ने अपने पहले कहानी संग्रह में अपने निर्भीक प्रयासों से सांप्रदायिक दंगे, पूर्वाग्रह और असमानता के बीच गहरी सहानुभूति के साथ संतुलन बनाए रखा है। यह प्रयास उनकी लेखकीय प्रतिभा को गहराई से प्रतिध्वनित करता है। सादिया के पात्र अद्भूत रूप से प्रामाणिक महसूस होते हैं। उनके संघर्ष स्वयं में विरोधाभासी राष्ट्र के जटिल सामाजिक ताने-बाने को दर्शाते हैं। सादिया की लेखन शैली प्रभावशाली है जो तीव्र गति वाली, स्पष्ट वर्णनात्मक कथाओं के साथ पाठकों को बांधे रखती हैं। उनकी कथा शैली सामाजिक यथार्थ को उजागर करने के बावजूद राजनीति से परे मानव की स्वाभाविक स्थिति पर ध्यान केंद्रित करती हैं।
अंततः “ए नैरो लेन एंड अदर स्टोरीज” एक पठनीय कहानी संग्रह है जो आम भारतीयों के दैनिक जीवन में घुसपैठ करने वाली चुनौतियों की एक झलक प्रदान करता है।

……………………………………………………………………………

The Enchanted Garden of Imagination

-‘SHANOLI RAY, Founder-CEO, EDVISHAN

Once upon a time in a land where dreams bloomed like flowers, there was an enchanted garden where the sun always shone, and the air carried whispers of magic. This was no ordinary garden; it was a haven for children seeking adventures beyond the realms of reality.

In this whimsical world, every tree had a story to tell, and the flowers danced to melodies only heard by the pure-hearted. Butterflies painted the sky with colors unseen, and the grass tickled the toes of those who dared to explore.

The inhabitants of the garden were fantastical creatures – mischievous fairies, wise old owls, and friendly rabbits with tales to share. The magic in the air was not just a spell; it was the language of imagination that spoke to the hearts of children who dared to believe.

As the clock struck twilight, the garden transformed into a magical amphitheater where fireflies twinkled as tiny stars. Underneath the celestial canopy, the children would gather to listen to stories woven by the ancient willow tree, its branches reaching out like wise old arms.

In the enchanted garden, every child became a hero, every shadow hid a secret, and every giggle echoed like the sweetest melody. And so, in the embrace of this whimsical haven, the children discovered that the truest adventures were the ones crafted by their own imaginations. The enchanted garden remains, a timeless sanctuary where the magic of childhood lives on.

……………………………………………………………………………

কাঁচ ওঠে………নামে

 -লক্ষ্মী বিশ্বাস ভৌমিক

লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ হলে সব স্লো হতে থাকে। একে একে সাইকেল বাইক রিক্সা কিংবা গাড়িগুলো জট পাকিয়ে আরও জটিলতা তৈরি করে। ব্যস্ত পথচারী এগোতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সাইকেল আরোহী বন্ধ গেটের তলা দিয়ে মাথা গলিয়ে কোমর বেঁকিয়ে বেরিয়ে যায় ত্রস্ততায়। পায়ে হাঁটা মানুষগুলো ট্রেন ধরার ব্যস্ততায় পায়ে পায়ে সচলতা বাড়ায় কেউবা ছুটতে থাকে প্লাটফর্মকে লক্ষ্য করে।
কিছুদিন হল রেল লাইনের ঝুপড়ি বস্তি থেকে ছেলেপিলেগুলো ক্রসিং গেটের আশেপাশে হুটোপুটি করে। গেট পড়লেই রুক্ষ শুস্ক অভাবী শীর্ণকার কচি হাত বাড়িয়ে দাঁড়ায় ওরা , ভিক্ষে পাওয়ার আশায়।
সেদিন পিঠ খোলা ফ্রকের নোংরা মাখা শিশুটা এগিয়ে আসতেই পিছনে সিটে বসে থাকা মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক বিরক্ত চোখে তাকায, দ্রুততায় গাড়ির কাঁচ বন্ধ করে দেয়। মেয়েটার কব্জি থেকে নেমে আসা হাতটা বাড়িয়ে পয়সা চাইতে থাকে। আঙ্গুলগুলো এক জায়গায় জড়ো করে মুখের কাছে আনে পেটে হাত রেখে সে ক্ষুধার্ত বোঝানোর চেষ্টা করে। সে পয়সা চাইতে থাকে, চাইতেই থাকে।
ট্রেন পাস হয়ে যায় গেট উঠে যায়। গাড়ি স্টার্ট নেয় ।জানালার কাঁচ নামাতে নামাতে মধ্যবয়স্ক বলে- ” বিরক্তিকর, কেন যে এগুলোর জন্ম দেয় ! “ততোধিক বিরক্তিতে সামনের দিকে তাকায় । শিশুটি পিঠ খোলা ম্লাল মুখে ফিরে আসে তার সঙ্গীর কাছে। খেলতে থাকে খালি পেটে । খেলে চলে চু – কিত- কিত, এক্কা – দোক্কা! খেলতে খেলতে শ্রান্ত ক্লাত চোখে চেয়ে দেখে কাঁচ ওঠে কাঁচ নামে……।

……………………………………………………………………………….

In The Mirror 

 -Tanuja Choudhury

As I was speeding through my daily routine throughout the year, suddenly I applied a brake on the New Year’s eve and took time out to look at the Mirror.
And Lo!! What did I behold!!!

Myself, Tanuja Choudhury, is a well qualified Industry Expert.
I have been a Training and Development Specialist with 23 years of Corporate Experience, adept at Planning and implementing onsite and remote Training Programs.
I am authoritative and possess clear communicator skill with enthusiastic style and insightful approach. My expertise encompasses such aspects like Leading Integrated Learning and Development Management, Strategisation & Operational Skill Management, Training & Development; with experience in implementing procedures and service standards for achieving Business Excellence.
I have worked across various Industries and Institutions. I am skilled at analysing People Behaviour & Local Market Trends with a focus to enhance individual & organizational productivity.
In this New Year, I have taken up a resolution to utilise my years of experience and skill-set for all-inclusive holistic development of our society.

……………………………………………………………………………………………

চক্ষুদান
    ✒️বৈশাখী ব্যানার্জী

“এই নাও বাবা। জলটা খেয়ে নাও”-মেয়ে দূর্গা একহাতে জলের গ্লাস আর অন্য হাতে দুটো মিষ্টি নিয়ে এসে বলে।
সনাতন বলে,”কি করে খাবো মা! দুই হাতে যে মাটি ভর্তি! তুই বরং রেখে যা, আমি খেয়ে নেবো”।
দূর্গা বলে,”হাতটা ধুয়ে নাও। সেই কখন চাট্টি খেয়েছো। পেটে আবার বেদনা শুরু হয়ে যাবে তো!”
“মা রে! পূজোর আর মাত্র একমাস বাকী। তাড়াতাড়ি হাত না চালালে কি করে সব সম্পূর্ণ করবো বল?”
“আচ্ছা বাবা।তুমি কাজ করো। আমি খাইয়ে দিচ্ছি “বলে পরম যত্নে বাবাকে খাইয়ে নিজের শাড়ীর আঁচল দিয়ে বাবার মুখ আর গায়ের ঘাম মুছিয়ে দেয় দশ বছরের ছোট্ট দূর্গা।

সনাতন পাল একজন নিরীহ সৎ মৃৎশিল্পী।৷ দশ পুরুষ ধরে তাঁদের এই ব্যব্সা। তার হাতের তৈরী প্রতিমার খুব চাহিদা। কিন্তু ইদানীং সনাতনের শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। সময়মতো না খেয়ে গ্যাস্ট্রিকে ধরেছে। পেটে ব্যাথা উঠলে স্থির থাকতে পারেনা। তাই এবার মাত্র ৪টে ঠাকুর গড়ার বায়না নিয়েছে।স্ত্রীও গত হয়েছেন চারবছর হলো। মা হারা মেয়ে দূর্গা যেন সনাতনের প্রান।

মহালয়ার দিন থেকেই সনাতনের শুরু হয় অসহ্য পেটে ব্যাথা। কোনো ওষুধেই কমেনা ব্যাথা। চিন্তার আকাশ ভেঙে পড়ে সনাতনের মাথায়। আজ যে মায়ের চক্ষুদান! এতবছরের নিয়ম কি তবে আজ ভেঙে যাবে?

“মা-গো! আমার কি কোনো অপরাধ হয়েছে ? আজ যে তোর চক্ষুদান! আমি যে উঠতেই পারছিনা। এ কেমন সাজা দিলি মা? কি অন্যায় করেছি আমি?” কান্নায় ভেঙে পড়ে সনাতন।

মেয়ে দূর্গা এসে বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ” চিন্তা কোরোনা বাবা। মা দূর্গা সব ঠিক করে দেবেন। তুমি একটু ঘুমাও তো! আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি”। মেয়ের হাতের স্নেহস্পর্শে দুচোখ ঘুমে জড়িয়ে আসে সনাতনের।
রাতে ঘুম ভাঙে তার। মেয়েকে ডেকে বলেন, “মা রে! তুই এমন মাথায় হাত লিয়ে দিলি যে, আমার পেটের বেদনাটাই কমে গেলো।”

অবাক হয়ে মেয়ে বলে, “আমি? আমি তো তোমার মাথায় হাত বুলাইনি বাবা। আমি তো খেলছিলাম দুলির সাথে।” মেয়ের কথায় আশ্চর্য হয়ে যায় সনাতন!
তাহলে কে ছিলো দূগ্গার বেশে? কে কমালো আমার ব্যাথা? তবে কি মা স্বয়ং এসে…..

ছুটে যায় সনাতন আটচালার প্রতিমা তৈরীর ঘরে। দেখে সব প্রতিমার চক্ষুদান সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে সনাতনের।হাতজোড় করে কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়ে সে।–“মা তোর এতো কৃপা! এতো দয়া!”

…………………………………………………………………………

 

Even A Small Initiative Matters

                                       -Shouvik Sarkar

John was going by the road and he saw a man. John was by his legs while the man was suited travelling in a luxurious car. John remembered that he has seen this man somewhere earlier. He remembered his name that was David and where they met. They met once when David was going for an work interview and he forgot his wallet. So John gave him a twenty dollars by which he was able to reach for the interview. He was young at that time and only five years older now.

John move up his head and saw David standing in front of him. John was amazed while David asked How are you man? How is life? John nodded his head and replied good. Then David added that because of those twenty dollars he received he was able to get the job and later he accumulated to start his business which is successful today. He thanked John and said that that little help is why he is so successful and happy today. John had a gentle smile in his face listening to that.

………………………………………………………………………….

 

ডিমপাউরুটি চোর
    -অঙ্কিতা ঘোষ

বহুদিন আগের কথা।তখন কলকাতার একটা অনামী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলাম আমি।
একদিন টিচার্স রুমে একাই বসে ছিলাম,স্কুলের প্রত্যেকটা ক্লাসে তখন লাস্ট পিরিয়ড চলছে।হঠাৎ আমারই ক্লাসের দুজন ছাত্রী এসে নালিশ করল যে অঙ্কনা বলে একটি মেয়ে অন্য একটি মেয়ের খাবার চুরি করেছে।আমি মনে মনে হাসলাম,বাচ্চারা কতকিছুই না করে।তাও ওদের সামনে গম্ভীর হয়ে অঙ্কনাকে টিচার্স রুমে পাঠাতে বললাম।
কিছুক্ষণ পর অঙ্কনা আমার সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়ালো,ওর চোখ মুখ কান্নার জন্য ফুলে উঠেছে।বেশ বুঝলাম অঙ্কনা মনে মনেই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।আমি গম্ভীর হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,”তুমি কি আজ টিফিন আননি?”
অঙ্কনা মৃদুস্বরে উত্তর দিল,”হ্যাঁ।”
-”তাহলে অন্যের টিফিন চুরি করলে কেন?”
মাথা নিচু করেই উত্তর দিল,”ডিমপাউরুটি দেখে লোভ হয়েছিল।”
-”কেন?তুমি কি ডিমপাউরুটি খেতে ভালোবাসো?”
-”গন্ধটা ভালো লাগে।”
-”মানে?তুমি কি এর আগে ডিমপাউরুটি খাওনি?”
-”কোনোদিনও খাইনি।”
-”মাকে বলো নি,যে তোমার ডিমপাউরুটি খেতে ইচ্ছে করে।”
-“মা বলে ওইসব খাবার খাওয়ার আমাদের ক্ষমতা নেই,আমরা অনেক গরীব তো তাই।আজ খুব লোভ লাগছিলো তাই ভাবলাম একটা পাউরুটি খেলে তিতাস বুঝতে পারবে না।”
আমি বললাম,”মা জানতে পারলে কি হবে বলো তো?”
এবারে অঙ্কনা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো,”মা খুব কষ্ট পাবে।মায়ের মনে হবে মা আমায় খাওয়াতে পারলে আমি চুরি করতাম না।আমি আর কোনোদিনও চুরি করবো না দিদিমণি,মা যা দেবে তাই খাবো।”
সেদিন অঙ্কনার মাকে আমি আর কিছুই জানালাম না,অঙ্কনাকেও আলাদাভাবে কিছু বোঝালাম না।কি আর বোঝাতাম ওকে,সময় ওকে অনেক অল্প বয়সে অনেক কিছু শেখাচ্ছে,অনেক কিছু বোঝাচ্ছে।সর্বক্ষেত্রে কি লোভ নিন্দনীয় হয়? একজন আট বছরের দরিদ্র শিশুর খাবারের লোভ করা কি চূড়ান্ত অপরাধ?এখনও তো কত মানুষ রয়েছেন যারা তাদের সন্তানকে প্রচন্ড অভাবেও শিক্ষাগ্রহণ করাচ্ছেন।হয়তো তাদের সন্তানদের পেটে দুটো কম খাবার পড়ছে কিন্তু সেই দরিদ্র বাবা-মায়েরাও জানেন শিক্ষা যদি সম্পূর্ণ হয় তাহলে একদিন পেটের ক্ষুধাও মিটে যাবে।আজ এত বছর পরেও ‘ ডিমপাউরুটি ‘ শুনলেই খুব পরিস্কার ভাবে অঙ্কনার ছোট্ট নিরীহ মুখটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

……………………………………………………………………………….

অনু গল্প

** বেজে গেছে কখন, সেই টেলিফোন **

-অনুরাধা চক্রবর্ত্তী

“অপা আমি বেরোচ্ছি, তোর বৌদি চাবি নিয়ে গ্যাছে, তাই আমি মেনগেট লক করে চাবি নিয়ে যাচ্ছি রে । তোকে আর নীচে নামতে হবেনা, ঘরে বসেই গান শুনতে পারিস “।
“ঠিক আছে, তুই যা দাদা, আমি আজ আর নীচে নামছিনা, আরে ফোন বাজছে তো, বৌদি নিশ্চয়, আমার জন্য রাবড়ি না রসমালাই আনবে, সেটা জানতে হয়তো….”

অপা হলো অপরাজিতা রায়, ওর দাদা অরিন্দম ছাত্র পড়াতে বেরিয়ে যেতেই, অপা ফোনে, ” হ্যালো! … কাকে চাইছেন?বিপাশা…? নানা আপনি ভূল নাম্বার এ কোরেছেন। আমি-তো অপরাজিতা,” ওপর প্রান্তের বক্তা “ওহ, কিন্তু 9836…690 ডায়াল করলাম তো, কি করে ভুল হলো, কিজানি?? বিপাশা আমার ছোট্ট বেলার বন্ধু, আমি শতদ্রু চ্যাটার্জী, বাগবাজার এ থাকি। সরি,আপনাকে বিরক্ত করার জন্য।”

অপা বিরক্ত হয়না,”আরে না না, আমি অপরাজিতা , থাকি কোথায় সেটা বলতে বৌদি মানা করেছে, আসলে দুবছর আগে আমার দৃষ্টি শক্তি চলেগেছে, একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়াতাম, সেটাও ছাড়তে হলো। তাই বাড়িতে গান শুনি, ইউ টিউবে অডিও শুনি, পকেট এফএম….. কতো কিছু পড়া বাকী রয়ে গেলো জানেন? দাদা, বৌদি যদিও পড়ে শোনায় ; তবুও, ওরা আর কতো করবে আমার জন্য বলুনতো??”

শতদ্রু চুপ করে শুনছিল, এবারে একটু থেমে থেমে বললো,”দৃষ্টি শক্তি হয়তো দূর্বল হয়েছে আপনার, ঠিক হয়ে যাবে, তখন পড়বেন সব। কতোই আর বয়স আপনার? কণ্ঠ শুনে 22-24এর বেশি তো….”
অপা ঝরনা এর কল কল্ রবে হেসে উঠে বললো,”সত্যি বাবা, পারেন আপনি, আমি 27+ , নভেম্বর এ 28 কমপ্লিট করবো। ” জীবনে অনেক কিছুই না পাওয়া রয়ে যায়, তারজন্য দুঃখ করতে নেই, এতো সুন্দর কথা বলো তুমি, নিশ্চয়ই

সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা…এহে তুমি বোলে ফেললাম, আপনি।”
অপা একটু ভেবে বলে,”আমি ইংলিশ এ অর্নাস, এম এ, ঐ বেশি পড়ার জন্যই নাকি…আরে না না, আপনি আমায় তুমি বলুন, বেশ লাগলো আপনার সাথে কথা বলে শত্দ্রুবাবু। আপনি কি করেন জানতে পারি? ” উত্তরে শতদ্রু চুপ থেকে,

কিছুক্ষন পরে বললো,” কী অদ্ভুত! কী মিল আমাদের। আমি ইংলিশ এ এম এ, সল্টলেক এ একটি অফিস এ কাজ করি।”
মেয়েটি মানে অপা এবারে একটু গম্ভীর হয়ে বললো,”একে অনেক মিল বলেনা, আর একটা অমিল আমায় সবার থেকে আলাদা করে দিয়েছে গত দুবছর। যাক বৌদি আসার সময় হলো, আপনি ভালো থাকবেন। আর মন চাইলে আবার

ভূল নাম্বার এ কল করবেন। বেশ লাগলো আপনার সাথে কথা বলে।”

এরপর রোজ কল আসতো, বৌদিও জেনে গেল ননদ এর টেলিফোন বন্ধু হয়েছে কারন তখন অপরাজিতা আর শতদ্রু সত্যিই দুজন দুজনকে অনেক অনেক জেনেছে। দুজনের সত্যিই মিল ও অনেক ছিলো, রাশকিন বন্ড এর লেখা দুজনেরই ভালো লাগে, ফানা, থ্রি ইডিয়টস, হেমলক সোসাইটি ইত্যাদি ফিল্মস ছাড়াও দুজনেরই অন্তহীন ফিল্ম আর রশকিন বন্ড এর The eyes have it গল্প টি দুজনেরই অতি পছন্দের ছিলো।শুধু তাই নয়, খাওয়া দাওয়া, টুর, পাহাড় পছন্দ দুজনেরই… ফেস বুক এর অপরাজিতা অপা নামের দুবছর ধরে বন্ধ থাকা আইডি টিরও সন্ধান পেয়েছিল, কিন্তু দেখা হয়নি আইডি টি।শতদ্রু একদিন, বিয়ের প্রসঙ্গ তুললো, উত্তরে অপা বলে, অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করে অন্যের বোঝা হতে নেই, ভালোবাসা না দিয়ে তাতে স্বামী নাকি করুণা করবে।।

এমনি করেই হঠাৎ একদিন এলো সেই অভিশপ্ত দিন 2020/26th March, লক ডাউন, দাদা বৌদি বাড়িতে থাকায় ফোন এ কথা প্রায় হয়না, খুব ভোরে অপা কথা বলতো সামান্য কিছুক্ষণ, রোজ সে শতদ্রু কে সাবধান করতো, বার বার হ্যান্ড জেল ব্যাবহার করতে বলতো, অক্টোবর এ পুজোর পর থেকে অপার ফোন বন্ধ বলতে শুরু করলো। রোজ দুবার চেষ্টা করতো শতদ্রু, ভেবেছিল নভেম্বর এ কাউকে সাথে নিয়ে যাবে ওদের বাড়িতে কেক নিয়ে, অপার জন্মদিনে। হঠাৎ কোভিদ হলো শত্দ্রু এর।। মা ওকে শক্ত হাতে সেবা করে আগলে রাখলো, না শ্বাস কষ্ট না থাকায় হসপিটাল এ দেয়নি। 16ওই ফেব্রুয়ারি নাগাদ শতদ্রু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাকে বললো, ফোন টা দাও, চার্জ দেবো, চার্জে দিয়েই কল করলো অপা কে, কি আশ্চর্য আজ রিং বাজলো, সাথে সাথেই রিসিভ ও হোলো, কিন্তু একটি গম্ভীর নারি কণ্ঠ,”আমি অপার বৌদি, আমাদের সবাইকে হারিয়ে, সবার ছোট হয়েও ও সবার আগে চলে গেলো, ফোন টা আজই আমি চার্জ দিয়ে অন করেছি শুধু আপনাকে খবর টা দিতে, আমি জানতাম আপনি কল করবেন”, বৌদির গলা ধরে এলো। এদিকে শতদ্রু বিড়বিড় করে বলে চলেছে,”কিন্তু আমার যে অনেক অনেক কথা বাকি রয়ে গেছে, আমিতো কথা বলতে চাই, আমায় সাবধানে থাকতে বোলে, ও কিভাবে এটা করলো? ওর আমার সবচেয়ে বড়ো মিলটাই তো ওকে বলা হয়নি, আমিওতো ওর মতোই অন্ধ, নয়তো কি এতো উজ্জ্বল ভাবে চিনতাম ওকে,? অপা, প্লীজ, শুনে যাও আমার কথা।”

……………………………………………………………………………….

বিষ্ণুর দশ অবতার তত্ত্বে অন্তর্নিহিত বিবর্তনীয় মতবাদ

-আহেরী দাস

ভারতীয় সভ্যতার ধারক এবং বাহক সনাতন হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম হিসেবে গণ্য। এই হিন্দু ধর্মে বিষ্ণু হলেন অন্যতম প্রধান দেবতা এবং জগতের পালনকর্তা। তিনি যুগে যুগে বিভিন্ন রূপে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে এই ধরাতলে অবতীর্ণ হয়েছেন। ভারতীয় বৈষ্ণব দর্শনে এবং গরুর পুরান মতে তার এই মুখ্য দশ পরম সত্তাকে অবতার হিসেবে অভিহিত করা হয় । ভারতীয় পুরাণ মতে বিষ্ণুর অধিকাংশ অবতার লীলা অবতার রূপে চিহ্নিত হলেও এই “রিলিজিও-মাইথোলজিক্যাল” ধারণার মধ্যে প্রাণী জগতের একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ক্রমাগত বিবর্তন প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। এখানে উল্লেখ্য, উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ এবং জীব বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তার “অরিজিন অফ স্পিসিস” গ্রন্থে প্রাকৃতিক বিবর্তনবাদ প্রকাশিত করেন। এই মতবাদ পৃথিবীতে জীবের উৎপত্তি এবং ক্রম বিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয়। ডারউইনিজেমের মূল কথা যোগ্যতমের উদবর্তন এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন বাদ। ১৮৭৭ সালে রাশিয়ার থিওসফিস্ট দার্শনিক হেলেনা ব্লাভটস্কি, তার “Isis Unveiled” গ্রন্থে সর্বপ্রথম বিষ্ণুর দশাবতারের সাথে ডারউইনবাদের সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন। বিষ্ণুর দশাবতার কে যদি ক্রমান্বয়ে লক্ষ্য করা যায় তাতে যে বিবর্তনের চিত্রটি পরিস্ফূর্ত হয় তা এই রূপ: মৎস্য অবতার জলচর মেরুদন্ডী প্রাণী, কুর্ম অবতার উভচর- যে জল ও স্থলের সংযোগ রক্ষাকারী প্রাণী, বরাহ অবতার স্থলচর অতি বন‍্যপ্রাণী যে মানব বিবর্তনের মিসিং লিংক বা সংযোগকারী প্রাণী হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। তবে এর কোনো অস্থিত্ব এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানে আবিষ্কৃত হয়নি। বামন অবতার হলেন খর্বকায় প্রাগ পরিণত মানব। একে মানব বিবর্তনের প্রথম জীবাশ্ম অস্ট্রালোপিথেকাসের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। জঙ্গলে বসবাসকারী আদিম আয়ুদ ব্যবহারকারী ( Stone tool user and maker) মানুষের জীবাশ্ম হোমো হ‍্যাবিলিসের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে সপ্তম অবতার পরশুরামের। অষ্টমাবতার রাম সমাজবদ্ধ (Hunter-Gatherer) শ্রেণীর মানুষ। কৃষ্ণ মতান্তরে বলরাম অষ্টম অবতার । অনেক ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান হিসেবে তুলনা করা যায় সেক্ষেত্রে বলরাম কে অবতার হিসেবে গণ্য করা হয়। যিনি হলকর্ষণ এবং পশুপালন করতে শিখে গেছেন (Settled Agricultural and Pastoral ) এবং উন্নত রাজনৈতিক সমাজের প্রতিনিধি। নবম অবতার বুদ্ধ আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ এবং দশম অবতার কল্কি ধ্বংস ক্ষমতাযুক্ত প্রচন্ডভাবে আধুনিক মানুষ। যদিও হিন্দু ধর্মের বিষ্ণুর দশাবতার তত্ত্বের সঙ্গে বিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা নেই । তবুও কিছু চমকপদ সাদৃশ্য অবশ্যই আছে। বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে দশাবতার তত্ত্বের সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তবে পরিশেষে বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি কালজয়ী উক্তি উল্লিখিত করা যেতে পারে-

” Science without Religion is lame, Religion without Science is blind.”

________________________________________

হায় বাঙালী হায়

-সুপর্ণা গংগোপাধ্যায়

ছোট বেলা থেকেই বাঙালী ঐতিহ্যে মানুষ হয়েছি। বাংলা স্কুলে পড়েছি। বাবা, মা, দাদা সবাই বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছেন এবং স্বমহিমায় নিজ নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত। বাবা নাম করা ডাক্তার ছিলেন বালীর। কিন্তু আগেকার দিনে এখন কার মত ইংরেজি মিডিয়া স্কুল ছিল না।কিন্তু কালের নিয়মে এখন সবই অন্য রকম। বাবা মার জায়গায় স্থান পেয়েছে পাপা  আর মাম্মি, বড় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ছেলে না পড়লে কি করে কাজ করবে সব অবাঙালী আর সাহেবদের সাথে। কাজের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই ইংরেজি ভাষা জানা আবশ্যক, যা আমি বিশেষ ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম যখন স্বামীর সাথে বিদেশে ছিলাম। তবে একটা কথা,বিদেশের বাঙালীরা নিজেদের বাঙালীয়ীনা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। আমি  নিজেও রবীন্দ্রজয়ন্তী ও নজরুল জয়ন্তী পরিচালনা করেছিলাম সব বাঙালী বন্ধুদের নিয়ে দিল্লিতে থাকাকালীন সময়ে।দুর্গা পুজোর সময়ে দিল্লিতে বিশেষ অনুষ্ঠান থাকতো, যা এখন কলকাতার আবাসন গুলিতে পুজোর সময় হয়। সময়ের সাথে সাথে বাঙালী খাবারের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বাঙালী এখন সব রকম খাবারেতে মজেছে, চাইনিজ, মোগলাই, সাউথ ইনডিয়ান কি নেই তাতে। তবে লুচি, আলু ছেচকির কদর এখনো আছে। না না  এখনো সব  হারিয়ে যায় নি। শাড়ির কদর আজও আছে, আভিজাত্য মানে শাড়ি। ধূতিও কিন্তু ফ্যাসানে  সেরা।  এখনো অনেকরই বাংলা বই পড়ার অভ্যাস আছে, বাংলা নিয়ে লেখালেখির অভ্যাস আছে। সবাই মিলে যদি আমরা একটু সচেতন হই, তাহলে বাঙালীয়ানা  নিশ্চিত বেঁচে থাকবে।মোদের গরব মোদের আশা আমরি  বাংলা ভাষা।

………………………………………………………………………………………..

বন্ধুত্বের সূত্রপাত
     – রিয়া মজুমদার

মা বাবার একমাত্র সন্তান রাজু প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।রোজ স্কুল থেকে ফেরার পথে আইসক্রীম খায়। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।কিন্তু আজ আইসক্রীম খেতে গিয়েই একটা ঘটনা ঘটলো।
সে দেখলো তারই মতন একটা ছোট্ট ছেলে আইসক্রীম বিক্রি করছে। কিন্তু রাজুর কাছে সেদিন খুচরো টাকা ছিল না তাই রাজু বললো আজ আমার কাছে টাকা নেই আমি আজ আইসক্রীম খেতে পারবনা।শুনে ছেলেটির বললো তুমি পরে দিয়ে দিও তোমার খেতে ইচ্ছা হয়েছে তুমি খাও আমাকে পরে টাকা দিলেও হবে আর না দিলেও অসুবিধা নেই।
রাজু তখন খুশি হয়ে বললো সত্যি বলছো?
ছেলেটি বলল হ্যাঁ সত্যি।
রাজু আনন্দে লাফাতে শুরু করলো
। রাজু ছেলেটিকে বললো তুমি কোন ক্লাসে পড়?
ছেলেটি বলল আমি পড়াশোনা করিনা।
রাজু বললো কেনো?
ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতেই উত্তর দিলো তার বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছে আর বাবা মারা গেছে  তাই আমি আইসক্রীম বিক্রি করি।
রাজুর খুব মায়া হলো ছোট্ট রাজু সংসার কী বোঝেনা!বোঝেনা দায়িত্ব কী?তবুও সে ছেলেটিকে বলল তুমি আমার বন্ধু হবে? আমি তোমাকে পড়া শিখিয়ে দেবো।
ছেলেটি অবাক চোখে তাকিয়ে বলল হ্যাঁ হবো।এর থেকেই শুরু হলো তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত।রাজু বললো আজ থেকে আমরা ভালো বন্ধু হলাম।

…………………………………………………………………………………

লজ্জা

-অনুরাধা দে

প্যান্টেটান পড়তেই অভিনব পেছন ফিরে তাকায় । বিরক্তি আর ঘৃণায় মুখটা কুঁচকে যায়। বলে ওঠে ছাড় ছাড় , অফিস যাবার সময় দিলি তো সাদা প্যান্টটা নোংরা করে। তোদের কি আর কোনো কাজ নেই? খেটে খেতেপারিস না?
বাচ্চা মেয়েটা ফ্যালফ্যাল অবুঝ চোখে বলে ১০টা টাকা দাও না গো ফ্রুটি খাব। বড্ড গরম করছে।
অভিনবর মেজাজ আরো গরম হয়ে যায়। একে প্রচন্ড গরম দরদর করে ঘামছে তার ওপর এই উৎপাত। বলে যা ভাগ ভিখিরি কোথাকার….ফ্রুটি খাবে….শখ কত!

মেয়েটা তাও ছাড়ে না । পিছন পিছন আসতে থাকে। এবার আর নিজেকে সামলাতে পারে না অভিনব। মেয়েটাকে ঠাস করে এক চড় কষাবে বলে বিশাল একটা চড় তুলে যেই পেছন ঘুরেছে…… চারিদিক অন্ধকার। কী হল কী হল ….ভাবতে ভাবতে….আর কিছু জানে না অভিনব।

কিছুক্ষণ পর চোখ খুলতে দেখে সেই ভিখিরি নোংরা মেয়েটা কচি কচি হাতে জল দিচ্ছে তার মাথায় মুখে চোখে। এবার সে কথা বলতে পারবে বুঝতে পেরে বলে ‘ফ্রুটি খাবে?ঠান্ডা ফ্রুটি? এই নাও এই নাও । খাও খাও। দেখবে ভালো লাগবে। বড্ড গরম তো… আমি যাই ভিক্ষে করি।’

লজ্জা লজ্জা লজ্জায় চোখ বুজে ফেলে অভিনব।

………………………………………………………………………………..

সমাজসেবামূলক কাজে দুর্গাপুর ত্রিনাথ আশ্রম

– নারায়ণ মজুমদার 

দুর্গাপুর ত্রিনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীশ্রী ১০৮ ব্রন্মলীন শ্রী দিগন্বর সদানন্দ গিরিজি মহারাজ। ওনার সুযোগ্য শিষ্য বর্তমান পীঠাধীশ্বর ১০৮ থানাপতি রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজ বর্তমানে এই আশ্রমটির অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করছেন। এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা পরম পুজনীয় প্রাতঃ স্মরণীয় সায়ং বন্দনীয় শ্রী দিগন্বর সদানন্দ গিরিজি মহারাজের দিব্যধাম প্রাপ্ত হয় ৭ই মার্চ ২০১৬ সালে। তারপর থেকে গুরুর নির্দেশিত পথেই রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজ এই আশ্রমটি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে চলেছেন। আমাদের অন্যান্য লেখাগুলিতে সদানন্দ মহারাজ এবং রঞ্জিতানন্দ মহারাজের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। আমি এই আশ্রমের সামাজিক ও সমাজসেবামূলক কাজকর্মের কথা তুলে ধরছি। এই আশ্রমটি পুজা পাঠ ও অধ্যাত্বিকতা পাশাপাশি “শিব জ্ঞানে জীব সেবার” মাধ্যমে সারা বছর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে। প্রতিবছর বাৎসরিক উৎসবের সময় মার্চ মাসে রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, নর-নারায়ন সেবা, দুঃস্থদের নববন্ত্র বিতরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষামূলক সরঞ্জাম বিলি করা হয়। বছরের অন্য সময়েও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষামূলক সরঞ্জাম বিলি করা হয়। এছাড়া দৃষ্টিহীন মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবহার্ষয সামশ্রী প্রদান করা হয়। শুধু দুর্গাপুর মেইন (প্রধান) আশ্রমেই নয়, এই আশ্রমের শাখা আশ্রমগ্ডলি যেমন__ কাটোয়া, নৈহাটি, বরানগর, কঙ্কালীতলা, জনাই হেগলী), মৌহাটি, কামাক্ষা সহ রঞ্জিতানন্দ মহারাজের বেশ কিছু শিষ্য ভক্তদের বাড়িতে যে আশ্রমণ্ডলি আছে সেখানেও বছরের বিভিন্ন সময়ে সমাজসেবামূলক কাজ করা হয়ে থাকে। রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজের অনুপ্রেরণায় এই কাজগুলি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়। বর্তমানে গত একবছর ধরে
দুর্গাপুর আদ্যামা সেবা সমিতি এই আশ্রমের এই সমস্ত কাজের সহযোগিতা করছে। এছাড়া গৌহাটির বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মহারাজের একনিষ্ঠ শিষ্য রাজামল্লিক মহাশয়ও সারাবছর ধরে আশ্রমের সামাজিক কাজগুলির ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। বিশেষ করে কামাক্ষায় অন্ববুচির সময় রাজাবাবু- ওনার সামাজির সংস্থা মানব কল্যাণ সেবা সমিতির মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করে থাকেন। ভক্তদের মধ্যে পানীয় জল, সরবত পরিষেবা এবং সাধুভান্ডার আয়োজনও করে থাকেন। রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজের অনুপ্রেরণায় এই কাজগুলি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। রঞ্জিতানন্দ মহারাজ যখন কামাক্ষা মন্দিরের থানাপতি ছিলেন (২০১০-২০১৬ পর্যন্ত) তখন ওনার উদ্যোগে কামাক্ষা মন্দিরের প্রাঙ্গণে যে জুনা আখড়ার বিল্ডিং রয়েছে সেটি নির্মিত হয়। তারজন্য তাকে আনেক লড়াই করতে হয়েছিল। এই কাজটির পাশাপাশি তিনি ব্রিনাথ ভগবানের মন্দির, বিগ্রহ, পালকি, রুপার খরম,
প্রভৃতি কাজগুলিও অনেক কষ্ট করে বহু লড়াই করে করেন। এছাড়া নাগা সন্ন্যাসীদের জন্য কামাক্ষা মায়ের বিশেষ দর্শন ও পুজার ব্যবস্থা করেন তিনি। অন্ববুচির সময় নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে জৌলুস শোভা যাত্রা আগে কামাক্ষা মন্দির চত্বরে করতে দিত না। মন্দির কতৃপক্ষ কিন্তু তিনি থানাপতি থাকার সময় থেকে অন্ববুচির সময় জৌলুস শোভা যাত্রায় ব্যবস্থা করেন। এই ভাবে থানাপতি রঞ্জিতানন্দ গিরিজি মহারাজ সাধু সমাজের জন্য ও ওনার আশ্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য সেবামূলক কাজগুলি নিষ্ঠা সহ করে চলেছেন। তাইতো আজ তিনি প্রত্যেকের কাছে এত প্রিয়।

…………………………………………………………………………………

नर्मदापुरम….नर्मदा नदी के किनारे बसा अद्भुत शहर

अबीर मजूमदार

नर्मदापुरम, भारत के मध्य प्रदेश राज्य का एक शहर है। यह होशंगाबाद जिले और नर्मदापुरम संभाग दोनों के मुख्यालय के रूप में कार्य करता है। यह मध्य भारत में, नर्मदा नदी के दक्षिणी तट पर स्थित है। इस शहर को पहले नर्मदा नदी के नाम पर नर्मदापुर कहा जाता था। यह शहर नर्मदा नदी के किनारे अपने खूबसूरत घाटों के लिए प्रसिद्ध है, सेठानी घाट एक प्रमुख आकर्षण है। नर्मदा जयंती पर शहर में रंगारंग समारोह होते हैं। घाट पर एक सत्संग भवन में हिंदू संत नियमित रूप से आते हैं जो रामचरितमानस और गीता पर नियमित धार्मिक प्रवचन देते हैं।

…………………………………………………………………………………

 সন্মান
– রত্না দত্ত

মাঝরাতে হিরেন মহাজনের ফোনটা আসার পর থেকেই সুধাকর চাষি কেমন যেন মনমরা হয়ে আছে।
গ্রামে সকাল থেকেই আজ যেন খুশির পরব,উৎসবের দিন।নতুন ধান ঘরে তোলা হবে।’ নবান্ন ‘ উৎসবের জোয়ারে ভাসছে সব
গ্রাম।কেউ বাড়ির দাওয়ায় দিচ্ছে আলপনা,কেউ আবার নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠে,পুলি বানাতে ব্যস্ত।তবে সুধাকর চাষির
বাড়িতে উৎসবের খুব একটা তোড়জোড় নেই। এবছর ফসল সেরকম ভালো হয়নি,মাথায় প্রচুর দেনা তাই নিয়ম রক্ষার্থে যেটুকু না করলেই নয়……….।
আজ সকাল সকাল সুধাকর চাষি বাড়ি থেকে
বেরোনোর সময় স্ত্রী মায়াকে বলেছিল,’ কিছু টাকার বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছি,হিরেন মহাজনের কাছে দেনার কিছুটা যদি শোধ করে দিতে পারি।’ কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও যখন সুধাকর চাষি বাড়ি ফিরল না তখন মায়ার মনে একটা দুশ্চিন্তা দানা বাঁধতে শুরু করল।কি হল মানুষটার ………?
এমন সময় বাড়ির সামনে পরপর অনেকগুলো গাড়ি এসে দাঁড়াল।ব্যাপার কি? জানার জন্য ক্রমেই গ্রামের মানুষের ঢল নামতে শুরু করল সুধাকর চাষির বাড়িতে।কিছুক্ষণ পরেই আরেকটা বড় গাড়ি এসে থামল।গাড়ি থেকে নেমে এল গ্রামপ্রধান,থানার দারোগা ও হিরেন মহাজনের মত লোকেরা।সেখান থেকে নেমে এল সুধাকর চাষি।
সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার আলো জ্বলে উঠল।উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই গণ্যমান্য ব্যক্তিদের
সবাই একে একে হাতে রাখা পুষ্প স্তবকগুলো দিয়ে দিল তার শরীরের ওপর।
গ্রামের লোকেরা বলল, ‘ যাক্ লোকটা তবে ভালোই সন্মান পেল,’ একজন বলল,’ শুধু কি এই! কাল খবরের কাগজে ছবিও বেরোবে,ভাবাই যায় না।’ সত্যিই সন্মানই বটে,
ফুলের স্তবকের ভিড়ে আর ক্যামেরার আলোর ঝলকানিতে কেউ বুঝতেও পারল না যে ঋণের ভারে জর্জরিত লোকটা আত্মহত্যা করেছে।

………………………………………………………………………………

VALUE EDUCATION

   -Sarbashis Kumar Paul

Science has provoked a revolution in the world. It generates everything very facile and accessible. It has put forward astonishing changes in the fields of health, defence, education, entertainment, communication, and social life. In this age, we notice enormous progress by the grace of science. Science saves time space, money, and energy and provides countless amenities to human life. The goal of science is to help in fulfilling his goal easily but some human beings apply it to worsened practice. Although in this age we visualize vast development in all spheres. If we were looking for something a little different previous two years ago, here we were facing the coronavirus pandemic. It was a great challenge for science to overcome the worsening situation. Yet when we gaze at our society we observe there is an atmosphere of contemplative indiscipline. Most of the juniors have less humbleness, love, and regard towards their seniors. On the other hand, intellectuals are not deeply devoted to their noble profession. Although two years ago the only discussion in all spheres was to prevent coronavirus infection from the world and the country. Philosophy starts where science has to stop; it succeeds where science fails. It is a proper time to accept spiritual knowledge. This education should be applied in society. Spirituality is the only medium through which we can realize our positive qualities. Noble Laureate Rabindranath Tagore takes the status of this noble and divine process to new heights in the following quotation: ” The highest education is that which does not merely give us information but makes our life in harmony with existence”. Swami Vivekananda said once that each soul is potentially divine. He also said, “Arise, awake, and stop not till the goal is reached”. We learnt from the great monk Swami Vivekananda’s philosophy then we can know that we should not think of ourselves as sinners. If we look at the upper layers of water, we will see it addle but the inner layer is clean. The heart of each man and woman is the temple of God. To know himself is to know God. We should illuminate light in the heart. If do plant a seedling, we have to care for it so that the goat can’t eat it. In this way, the role of a teacher is to take care of students and help them to discover their assimilation. We should take blessings from science with good spiritual knowledge mainly in our country. We should respect the great dictums that were given by our great men.

……………………………………………………………………………….

সোনালী স্মৃতিতে চিকিৎসা

–জয়িতা দত্ত

ছোট থেকেই নানারকম ভোগাটা আমার রুটিনে ছিল। এই জ্বর,তো এই পড়ে গিয়ে ঠোঁট কাটা, নয়ত দরজার আংটায় আঙ্গুল চাপা। বড় বড় অসুখ-বিসুখ তো আমার বাৎসরিক সঙ্গী ছিল ! সেই সুবাদে বাগমারীতে পাড়ার ডাক্তারকাকুর আমাদের বাড়ি আনাগোনা লেগেই থাকত। কখনও বা তাঁর ডিসপেনসারিতেও বাবা-মা নিয়ে যেতেন। এ পযর্ন্ত পড়ে মনে হতেই পারে যে এ আর নতুন কি কথা! না, নতুন নয়, আমি পুরনো কথাই লিখতে বসেছি। কিন্তু বেশ পুরনো,তা প্রায় ৫০ -৫৮ বছর আগের কথা!

তো সেই ডাক্তার কাকু এসে হাসিমাখা মুখে বলতেন, ‘কি গো মামণি,শুয়ে কেন? কাঁদো কেন? তুমি তো কত্ত ভালো মেয়ে! কিছুই তো হয়নি,ওই ঘুমের সময় একটা বড় লাল পিঁপড়া কামড়ে দিয়েছে। আমি এখুনি দুষ্টু পিঁপড়াকে জব্দ করছি দাঁড়াও!’ এই জাতীয় কথা। অর্ধেক রোগ তো মনে হয় ওঁর সুমিষ্ট কথাতেই কেটে যেত! বলতেন হাঁ কর, জিভ বার কর, আর কি যেন কানে লাগিয়ে (stethoscope) অন্য দিকের গোল চাকতি বুকে – পিঠে লাগিয়ে আদর করে বলতেন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নাও দেখি মামণি। তারপর মা-বাবাকে কিছু বলে চলে যেতেন। পরে তাঁর ডিসপেনসারি থেকে বাবা ওষুধ নিয়ে আসতেন। ওষুধ মানে দুটো শিশি। একটায় লাল আর একটায় নীল রঙের জল। এর নাম মিক্সচার। শিশির গায়ে কাগজের কাটিং করে লেবেল করা থাকত (তখন লেভেল কথাটা চালু ছিল না )। তার এক বা দু-দাগ কখনো লাল কখনো নীল শিশির থেকে খাওয়ানো হত। শুধু ছোটদের নয়, বড়দের বেলাতেও সেই লাল-নীল শিশি!

কখনও ডাক্তার কাকুর ডিসপেনসারিতে গেলে দেখতাম সেখানে আরেক জন ওঁনার কথামতন ওই লাল-নীল মিক্সচার তৈরি করে দিচ্ছেন। তাঁকেও আমি কাকু বলতাম। আমি গেলেই তিনি আমায় একটা টিকটিকি লজেন্স দিতেন, বাবার বারণ সত্ত্বেও। তখনকার দিনে সেই লজেন্সের সাইজ কিন্তু এখনকার থেকে অনেকটাই বড়! কত গল্প করতেন তিনি আমার সাথে ! আমার কোন কষ্টের কথা তখন মনেই থাকত না ! একটু বড় হয়ে জেনেছি তিনি ডাক্তারকাকুর সহকারী।( মানে অ্যাসিস্ট্যান্ট;তখন আবার এত ইঞ্জিরী শব্দ বলার চল ছিল না গো ! ) তখন বলা হত কম্পাউন্ডার। তাঁরা ওষুধ বা মিক্সচার তৈরি করা, ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া, ওই কেটে – টেটে গেলে সেখানে লাল রঙের ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া ( মারকিউরোক্রম ) এই কাজগুলো করতেন। অনেক সময় ডিসপেনসারিতে ডাক্তাররা না থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসাটাও তাঁরা করতেন।

শিশুমনে ওই লাল-নীল শিশির ছাপটা রয়ে গেছে,কারণ ওষুধ কিছু দেওয়া হত কি? মনে তো পড়ে না। ওই গলাধঃকরণ করেই আর তাঁদের মমতাতেই তো সব রোগ সেরে যেত মনে হয় ! কি যে থাকত ওই লাল-নীল শিশিতে! বড় হতে হতে কবে যে সেই লাল-নীল মিক্সচারের বদলে এত্তরকম টেস্ট আর এ্যাত্ত রকম ওষুধ খাওয়া এল! বিনা টেস্টেই নাড়ি টিপে রোগের নিদান দেওয়া সেইসব হাসিখুশি ডাক্তাররা যে কোথায় হারিয়ে গেলেন!! ডাক্তারকাকুরা হয়ে গেল ডাক্তারবাবু ! ডিসপেনসারি হল চেম্বার।আর কম্পাউন্ডার? তাঁদের জায়গা নিল ফার্মাসিস্ট।

আচ্ছা তাঁরা কি আজও ছোটদের সঙ্গে একইরকম স্নেহভরে গল্প করে? লজেন্স দেয়? কি জানি।।

…………………………………………………………………………………

স্বর্গের চেয়েও বেশি সুন্দর?

    -অদ্রিজা দে  (দ্বাদশ শ্রেণী)

আঁকাবাঁকা ব্যস্ত‌ লিডার ছুটে চলেছে স্বর্গের পথে।
নদীর চারপাশের পাথরগুলো যেন তার অনন্তকালের সঙ্গী।
সূর্যের কিরণে বরফের মতন ঠান্ডা জল, হীরের টুকরোর মত চিকচিক করে উঠলো।
স্বপ্নের তুলি দিয়ে আঁকা পেহেলগাওয়ের মাধুর্য্য হৃদয়ের অন্তরালে থাকা আনন্দের ঘন্টা কে দুলিয়ে দিল।
ব্যস্ত জীবনের চিন্তাকে ক্ষণিকের জন্য বিদায় দিয়ে পাহাড়ের গায়ে পাইন, চিনার এবং দেবদারু গাছের বনে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করলো ।
আগামী কুড়ি মিনিটের জন্য একটি পাথরকে ঠিকানা করে, তার উপর বসে সৌন্দর্যে বিভর মন নানানকথা ভাবতে লাগলো।
তুষারবৃত পীরপাঞ্জাল দিশাহীন নীল, উন্মুক্ত আকাশের সঙ্গে মিশে এই গ্রামের শোভাকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে।কাগজের কাপে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে, জিজ্ঞাস করলাম নিজেকে। ‘আচ্ছা এই নদীর জল
দীর্ঘদিন ধরে, বিশ্রাম ছাড়া ছুটতে ছুটতে, ঠিক আমাদের মতন ক্লান্ত হয়ে যায় না? হাঁপিয়ে ওঠেনা?’
শহুরী জীবনের ক্লান্তিকে সরিয়ে দিয়ে এইভাবে, প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার নেশাকেই হয়তো স্বর্গীয় সুখ বলে।
রাস্তায় রাস্তায়, ভারতীয় সেনার বন্দুক হাতে টহল দেওয়া, এই ভালোবাসার শহরের স্বচ্ছতার সাথে সংঘর্ষ করল।

কিভাবে সময় কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। গাড়ি স্টার্ট দিল। পেহেলগাওয়ের হোটেলে সযত্নে নিজেদের ব্যাগ পত্র রেখে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্য স্থানের জন্য।
যেতে যেতে প্রশ্নমুখর হয়ে উঠল মন। মনে হলো ওই যে নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশে ঠিক নদীর ধারে কুঁড়ে ঘরটাতে কারা থাকে? কিভাবে তারা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করে? ‌ প্রতিটি পর্যটকের মত তারাও কি প্রত্যেক সকালে উঠে এই সৌন্দর্যের আঙিনায় নিজেদের হারিয়ে ফেলে? ‌ নাকি পাহাড়ি জীবনের নানান সমস্যায় তাদের জীবন জর্জরিত?

এইসব ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেলাম আরু ভ্যালি। সেখান থেকে চন্দনওয়াড়ি। অমরনাথ যাত্রার বেস ক্যাম্প চন্দনওয়াড়ি। এখানে সবুজের ছোঁয়াটুকু নেই।‌ দুধের মতন সাদা মখমলের চাদরে মোড়া পাহাড়ের প্রত্যেকটি কোণ। কিছুক্ষণ সেই বরফের দেশে সময় কাটানোর পর, চলে এলাম ‘বেতাব ভ্যালিতে’।

শ্রীনগর ,গুলমার্গ, সোনমার্গ উপভোগ করার পর পেহেলগাওতে আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ সম্পূর্ণ হলো। ভারতের মাথায় মুকুট পড়া এই রাজ্য হয়তো স্বর্গের চেয়েও বেশি সুন্দর।

…………………………………………………………………………………

To My Dear Brother, With Love

-Parimal Malakar

When profession meets with passion, the result is Dr. S. Malakar, a very popular leading laparoscopic surgeon in the capital city of Odisha, Bhubaneswar. It was indeed a pleasure and honour spending some real quality time recently with him during “Kobita Utsab-2023”, organised by him at Utkal Ranga Mancho (GKCMORC) Bhubaneswar. Dr. S. Malakar, who passed out from Burla Medical College in the year 1967, was the most popular student in the batch. A great humanitarian, he basks in serene landscape of life, achieving great things yet grounded down to earth simplicity. He started as a Medical Officer with Govt of Odisha and became HOD in surgery in the Capital Hospital before he decided to quit the Govt. job in 2002, to dedicate his full time in various social welfare activities at the same time looking after his own Nursing home (Bhubaneswar Medical and Research Institute) as the Director.

In spite of all these activities, he kept on pursuing his passion in cultural arena (Oriya stage, Film, TV seriels etc). Presently, this enchanting narrator, capitulating elocutionist and commanding reciter is all out to promote Bengali Poetry amongst the local people in Odisha.

So proud to say that he is my dear brother and we share inumerable wonderful memories of countless blessings.

…………………………………………………………………………..

পোষাক তুমি কার?

-কেয়া দাস

চৈতালীর খুব বেড়াবার নেশা।এবারের গন্তব্য স্পিতি ভ্যালি।সাইট সিয়িং -এ বেরিয়ে মগ্ন হয়ে যায় প্রকৃতির সাথে।কোনো ছবি তোলা নয়।হোটেলে ফিরে ডিনার শেষ করে যখন নিজের রুমে চলে যায় তখন ডাইরিতে সবই লিখে রাখে।ঘুরতে গিয়ে অনেকের সাথে আলাপ পরিচয় হয়।এবারের ট্যুরে বিশ্বাস গিন্নি ও ওনার তেইশ বছরের মেয়ে তিন্নির সাথে আলাপ হয়।বিশ্বাস গিন্নি একেকদিন এক এক রকমের পোষাক পড়েন আর নিজের প্রচুর ছবি তোলেন। চৈতালীকে কেনো জানিনা সহ্য করতে পারেন না।একদিন হলো কী?তিন্নি ওর দামী আই ফোন টা চৈতালীর কাছে দিয়ে গল্প করতে করতে এগিয়ে গেছে। চৈতালী পিছিয়ে পড়েছে। চৈতালী যখন কাছাকাছি আসে শোনে বিশ্বাস গিন্নি মেয়েকে খুব বকছে। চৈতালীর খুব খারাপ লাগে তিন্নিকে বকার প্রত্যেকটা শব্দ শান্তভাবে প্রথমে বোঝবার চেষ্টা করে।এরপর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে চৈতালীর মেধাবী, উচ্চপদাধীকারী,প্রচুর সম্পত্তির অধিকারিণী ব্যক্তিত্বময়ী এক নারী। যার কাছে বিশ্বাস গিন্নির চাকচিক্য ধূলিসাৎ হয়ে যায়।সাধাসিধে জীবনযাপন কারোর পরিচয় নয় ।

…………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………

Disclaimer:–   ILF (International Literary Foundation) has published all writings in good faith WITHOUT editing,  grammatical check-up, verification of copyright or creative right of anyone.

ILF believes that each writer or poet has contributed his/her own original composition and has not hurt any one else.

***Pl note–If someone else than the contributor claims his/her copyright over the write-up, the poet/ writer has to justify his/her claim.

If found guilty of stealing or plagiarism, the contributor of that poem or composition is to be blamed and penalised.

###NO Blame or NO Bad Remark must come up against  the publisher, printer or ILF.

***We humbly submit that ILF (International Literary Foundation) has published the writings to promote literature and not for any other reason or motive.

-Statement issued by Asish Basak, Chairperson of ILF

 

 

“ILF 100-te 100” is a compilation of 100 poems, short stories, creative compositions and literary facts.

The book reflects the passion and potential of 100 literary talents.

This book is the 1st ever Sharadiya edition of ILF Publications, promoted by INTERNATIONAL LITERARY FOUNDATION (ILF).

ILF is a Consortium of Writers & Poets.

ILF believes in the motto of “LITERATURE FOR ALL”, irrespective of his/her mother tongue, gender, social status and ethnicity.
INTERNATIONAL LITERARY FOUNDATION is the brain-child of its Founder-President Dr. Samir Shil, D. Lit., an eminent author, poet, Rabindrik research scholar & orator.

ILF is committed to promote all types of literary products and services through regular publications, various events and news-media promotions.

Miscellaneous initiatives of ILF is ideated & executed by ILF’s Founder-Chairperson Asish Basak, a dynamic socio-cultural influencer, journalist, author & film-maker.

“ILF 100-te 100” is the 1st step towards re-creating and re-orienting the literary world.

**ILF query:- 9339228087

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *