কবিতার গল্প
-বিশ্বনাথ চৌধুরী
কবিতাকে নিয়ে একটা গল্প লিখেছি
এসো তোমাদের শোনাই।
ছোটোবেলা থেকেই দুরন্ত ছটপটে
সোনামুখী গ্রামের মেয়ে এই কবিতা।
কবিতাকে নিয়ে প্রতিদিন অভিযোগ
মায়ের নাজেহাল অবস্থা। কখনও
ঢিল মেরে পেয়ারা পাড়া বা আম গাছে
আম পেড়ে খাওয়া। পাড়ার মানুষ অতিষ্ট।
কারও ঠাকুমার শাসকষ্ট, পা ভেঙে গেছে
ছেলেটার। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার
দায়িত্ত্ব এই কবিতার। ওষুধ এনে দেওয়া সেবা করা সবই হাসিমুখে করে দেয় এই কবিতা।
পড়াশোনায় মাঝারি হলেও খেলায় প্রথম ও।
ওর গ্রামই ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ওর নেতৃত্বে
মাথায় তুলে নাচে সকলে । পরক্ষনেই ওর দাপটে নালিশের পাহাড় জমা হয়ে যায়।
কালো বলে বিয়ে হবে না এই খাসগল্পে বসে
যান পাড়ার বুড়িরা। বুড়োরা ফোকলা দাঁতে হাসে যেন এটা ছাড়া কবিতার সুষ্টভাবে বেঁচে থাকার আর কোনো রাস্তাই নেই এই জগতে।
যে কবিতা পাড়ার রত্ন তাকে আমরা চিনতে
না পেরে অবজ্ঞা করি পদে পদে অপমানে
বিদ্ধ করি তার মন। পায়ে পিষ্ট করতেও
কুণ্ঠা করিনা। আসুন আমরা একটু ভাবি।
একটু পাশে দাঁড়াই মানুষের। বাড়তি খাবার
দিয়ে সাহায্য করি ক্ষুধার্তদের। শীতে খালি
গায়ে ছেলেটার গায়ে একটু পোশাক পরাই
অথবা ফোস্কা পড়া পায়ে একটা জুতো দিই।
দূর থেকে হাততালি না দিয়ে কাছেতে এগিয়ে
আসি আর হাত ধরে বলি তোমরা আজ আর
একা নও কবিতার মতো আমরাও আছি তোমাদের পাশে। আমাদের হাতটা চেপে ধর।