হাওড়ায় জাতীয় লোক আদালতে সিংহভাগ মামলার নিস্পত্তি

পারিজাত মোল্লা–  গত শনিবার সারা দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বসেছিল জাতীয় লোক আদালত।হাওড়া জেলা আদালতও তার ব্যতিক্রমী নয়।ওইদিন হাওড়া জেলা ও দায়রা বিচারক (জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ারম্যানও) শ্রীমতী সোনিয়া মজুমদারের নেতৃত্বে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের শ্রীমতী সচিব সুপর্ণা সরকারের পরিচালনায় ২১ টি বেঞ্চ বসেছিল।জেলার সদর আদালতে ১৮ টি এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে ৩ টি বেঞ্চ হয়।

হাওড়া জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানান -“জাতীয় লোক আদালতে ৫ ৭১২ মামলা নথিভুক্ত ছিল, এর মধ্যে ৪,২২০ টি মামলার নিস্পত্তি ঘটেছে, এইসব মামলায় অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকার মত “। হাওড়া জেলা আদালতে জাতীয় লোক আদালতের ২ নং বেঞ্চে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্লাবন মুখার্জির নেতৃত্বে দুই সদস্যর বেঞ্চ ছিল।এই বেঞ্চে সমাজকর্মী হিসাবে ‘বেঞ্চ জাজ’ হয়েছিলেন ‘হাইকোর্ট সংবাদদাতা’ মোল্লা জসিমউদ্দিন মহাশয়। এই বেঞ্চে গাড়ি দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা উঠে। ৬০ টি নথিভুক্ত মামলার ৪৬টি মামলার নিস্পত্তি ঘটে।এই বেঞ্চে নিস্পত্তি মামলার অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার মত।এই বেঞ্চের মূল বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্লাবন মুখার্জি জাতীয় লোক আদালতে বিচার চাইতে আসা প্রবীণ বিচারপ্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেন অন্যান্য বিচারপ্রার্থীদের সহমতের ভিক্তিতে। বিচারকের এহেন মানবিকতায় মুগ্ধ অনেকেই। এদিন জাতীয় লোক আদালত চলাকালীন ২ নং বেঞ্চে চা দিতে আসা অমর অধিকারী নামে এক ব্যক্তি হঠাৎই মৃগী রোগে আক্রান্ত হন।সাথেসাথেই বিচারক প্লাবন মুখার্জি ওই যুবকের সেবাশুশ্রূষায় হাত লাগান।জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব সুপর্না সরকারের তদারকিতে আইনজীবী কমল সাউ, জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের কর্মী অমিতাভ হাজরা – শোভা পাত্ররা ওই মৃগী আক্রান্ত যুবকের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তৎপর হন।ওইদিন হাওড়া জেলা আদালতের অন্যান্য বেঞ্চে ট্রাফিক আইন, মানি স্যুট, টাইটেল স্যুট,ব্যাংক, এনজিআর,বিদ্যুৎ, টাইটেল স্যুট,বন্ধন ব্যাঙ্ক প্রভৃতি বিষয়ক মামলার নিস্পত্তি ঘটে।হাওড়া জেলা আদালতে ‘বেঞ্চ জাজ’ হিসাবে শিক্ষক, আইনজীবী, সমাজসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন জগতের মানুষজনকে যুক্ত করা হয়েছিল। জানা গেছে শতকরা ৯০ ভাগ মামলা এদিন সারাদিন ব্যাপি উভয় পক্ষের সম্মতিতে মিমাংসা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *