বিশ্বমৈত্রীর ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব কল্যনীর বার্তা সম্প্রীতি আর নদী বাঁচাও

বিশ্বমৈত্রীর ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব কল্যনীর বার্তা সম্প্রীতি আর নদী বাঁচাও

বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ,ভারত কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে এবং বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ, নদীয়া দক্ষিণ জেলা সংগঠন ও কল্যানী পৌরসভার সহযোগিতায় গত ২রা নভেম্বর থেকে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যানী শহরের ভাষা উদ্যানে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব। গঙ্গা-পদ্মা-রূপসা-জলঙ্গী-চূর্ণী পঞ্চ নদীর জল ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীরা মাথায় নিয়ে সম্প্রীতি ও নদী বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও এই বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে দুই বাংলার জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদ স্মৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দুই বাংলার জাতীয় ফুল পদ্ম ও শালুক ফুলে পঞ্চনদীর মিলন সেই সাথে শিল্পী সরকারের কল্যানী গীতবিতান ও নদীয়া দক্ষিণ জেলার শিল্পীবৃন্দের সমবেত সংগীত বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও এবং সংগীতা চক্রবর্তীর পরিচলনায় সমবেত সংগীত গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা, আমার দুই চোখে দুই জলের ধরার মেঘনা যুমনা গানের সাথে প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাউন্সিলর শিক্ষা ও ত্রীড়া জনাব রিয়াজুল ইসলাম এবং কল্যানী পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান বলরাম মাঝি বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক ও নৃত্যবিহার এর নৃত্যগুরু জনাব এনামুল হক বাচ্চু সাংস্কৃতিক সংগঠক গোলাম ফারুক বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন আমলা সংস্কৃতিজন আকুম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ ভারত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নৃত্য ও আবৃত্তি শিল্পী স্বাতী ব্যানার্জী দাস, সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার ঢাকার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশের সমাজকর্মী নড়াইল শাখার নেতৃত্ব খায়রুল আলম বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যুত দাস সুদীপ হালদার ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মদন সিংহ বাচিক শিল্পী ও প্রাবন্ধিক সত্যকাম বাগচী ঢাকার কবি সোহেলী মল্লিক বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ শান্তিনিকেতন শাখার কনিনীকা নৃত্য মন্দির সৃষ্টি নৃত্য গোষ্ঠী তনুষ্কা নৃত্য গোষ্ঠী প্রদীপ্ত ড্যান্স একাডেমি, ডমরু ড্যান্স একাডেমি ব্লেজ নৃত্য একাডেমি সাগর ড্যান্স একাডেমি বাংলাদেশের খুলনা জেলার আব্বাসউদ্দীন একাডেমি ও নৃত্যবিহার সহ সাতটি নৃত্যদলের শতাধিক নৃত্য শিল্পী একসাথে শতাধিক নৃত্য শিল্পী এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় ২ টি গানের সাথে ভাষা উদ্যানের প্রাঙ্গণে নৃত্য পরিবেশন করেন। উপনিষদের স্তোত্র পরিবেশন করেন শান্তিনিকেতনের সাধারণ সম্পাদক সোমা সিংহ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নদীয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং আকাশবাণীর আরজে দেবনিষ্ঠা জানা এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দিলরুবা খানম ছুটি, আলোকদ্যুতি নন্দী পাঁচদিনের এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন কল্যানী পৌরসভার পৌরপ্রধান ড. নীলিমেষ রায়চৌধুরী কল্যানীর মহকুমা শাসক ড. অভিজিত সামন্ত বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ, ভারত কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর কার্যকরী সভাপতি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী কলাভৃৎ সংস্থার কর্ণধার অনুশীলা বসু যার আরো একটি পরিচয় তিনি ভারতের লোকসভার প্রাক্তন স্পীকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা ছিলেন উপদেষ্টামন্ডলীর সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী সরমা সেন দেবীপ্রসাদ বসু বাংলাদেশের ঢাকার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী নাঈমা বিন্তি সহ আরো বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ। বিশ্বজুড়ে বাঙালির মন ও মননের বন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলা তিন বছরের এই সংগঠন শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সারা বছর জুড়ে সমাজকল্যাণ মূলক কাজ পরিবেশ স্বাস্থ্য সচেতনতা শিশু কিশোর কিশোরীর নারী দের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ বা ভারতের সুন্দরবনের মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে দিগন্ত প্রসারিত বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ । পাঁচদিনের এই বাঙালির মিলনোৎসবে বিশিষ্ট বাউল শিল্পী গৌতম দাস বাউল ও শম্পা দাস বাউল বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী নির্ঝর চক্রবর্তী আসামের শিলচর বাঁকুড়া চট্টগ্রাম খুলনা ঢাকা নড়াইল শান্তিনিকেতন কলকাতা মুর্শিদাবাদ উঃ২৪ পরগনা দঃ২৪ পরগণা ও কৃষ্ণনগরের প্রায় তিন শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে এযেন এক সম্প্রীতির মিলনোৎসবের আয়োজন ছিল বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন দুই বাংলার জাতীয় ফুল জাতীয় পাখী জাতীয় কবি আর বর্ণমালার সুসজ্জিত ছিল মনে হচ্ছিল কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে বিশ্ব বাঙালির মিলনোৎসব মুখরিত ছিল — পোষ্টারে লেখা ছিল কবির সেই কবিতার লাইন ” গঙ্গার জল পদ্মা হয়ে একূল ওকূল দুকূল ভাসায়, মাটির দাগে ভিন্ন হলেও আমরা তো সেই বাংলা ভাষায় “। আমরা গর্বিত আমরা বাঙালি। অনুষ্ঠানে হুগলী জেলার কিশোরীদের মহিলা ব্যান্ড লাইটনিং স্টারের শিল্পীরা দুই বাংলার লোকগানের ডালি নিয়ে তাদের পরিবেশনায় মাতিয়ে তুলেছিলেন উৎসব প্রাঙ্গণ।

শেষ দিনের অনুষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তা ও নির্বাপণ সচেতনতা র জন্য কল্যানী ফায়ার অফিসারের আলোচনা, সাইবার ক্রাইম বিষয়ে সচেতনতার আলোচনায় অলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইবার ক্রাইম স্ট্রেটেজিস্ট ঋত্বিকা ব্যানার্জী এবং উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মিতা রায় সুমন গাঙ্গুলী আয়ুব আলি ভৌমিক বাবু পীযুস বাবু সহ চ্যানেল সহযোগী আরপ্লাস নিউজের বিশ্বজিত দেবনাথ এবং বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যম প্রিন্ট মাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা। আজ শেষ দিনে মনে হচ্ছে, অন্তরে অতৃপ্ত রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে ও হলোনা শেষ।

আশিস সরকার
সাধারণ সম্পাদক
কেন্দ্রীয় কমিটি
বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ, ভারত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *